আতাউল গনি ওসমানী (১৯১৮-১৯৮৪)
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানীর পৈত্রিক নিবাস বালাগঞ্জ উপজেলার দয়ামীর গ্রামে। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে। ১৯৩৮ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং ১৯৬৭ সালে একই পদে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পাকিস্থানি সেনাবাহিনীতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে যোগ্য রেজিমেন্ট হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে তাঁর অবদান উলেস্নখযোগ্য। ১৯৭০ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। সত্তরের নির্বাচনে এমএনও নির্বাচিত হন। একাত্তরের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরম্ন হলে ওসমানী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক মুক্তিবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। মুক্তিযুদ্ধে ওসমানীর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দান করে, যা ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর। ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতির পদ বিলুপ্ত হলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনে মন্ত্রী, সাংসদ, উপদেষ্টা প্রভৃতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস